কারিগরি জটিলতায় স্কুলে ভর্তির লটারি পেছালো

সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া গত ৩০ নভেম্বর শেষ হয়েছে। এখন ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। লটারির পর শুরু হবে ভর্তি প্রক্রিয়া।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ লটারি হওয়ার কথা ছিল। তবে জটিলতার কারণে লটারির তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, টেলিটক মূলত এ কাজটা করে থাকে। তাদের কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, সেটা টেকনিক্যাল ইস্যু। তাদের অনুরোধে আমরা ১২ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৭ ডিসেম্বর লটারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ লটারি হবে।

জানা যায়, গত ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। ১৮ দিনে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে।

যার মধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন পড়েছে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২টি। আর বেসরকারি স্কুলে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি। এবার সরকারি-বেসরকারি ৫ হাজার ৬২৫টি বিদ্যালয়ে মোট ফাঁকা আসন আছে ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৩টি।

মাউশির তথ্যানুযায়ী, ৬৮০টি সরকারি বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ জন। সরকারিতে স্কুল আবেদনকারীরা পছন্দ (চয়েজ) দিয়েছেন ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০টি।

অন্যদিকে ৪ হাজার ৯৪৫টি বেসরকারি বিদ্যালয়ে রয়েছে শূন্য আসন রয়েছে ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩টি। বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭ জন শিক্ষার্থী। সেই হিসাবে ভর্তির পরও বেসরকরি স্কুলে আসন শূন্য থাকবে।