ঢাকায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতি বছরের ন্যায় ভারতীয় হাই কমিশনের আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে “মৈত্রী দিবস”-এর ৫৩তম বার্ষিকী। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে সঙ্গীত সন্ধ্যাসহ নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় দিনটিকে ঘিরে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মৈত্রী দিবসকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি মাইলফলক ও অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হিসেবে বর্ণনা করেন। হাই কমিশনার বলেন, উভয় দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে একে অপরের গভীর স্বার্থ জড়িত এবং এই সম্পর্কের ভিত্তি হলো মানুষ। হাই কমিশনার ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যতের রক্ষক হিসেবে তরুণদের যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে সেটার ওপর বিশেষভাবে জোর দেন। তিনি সংযুক্তি, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যে আরও শক্তিশালী সংযোগের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান আন্তঃনির্ভরতাকে আরও শক্তিশালী করার আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিদেশি মিশনের প্রধানগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ, শিল্প ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও যুবসমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে।
আয়োজনে তরুণ ও খ্যাতিমান শিল্পীগণ ঐতিহ্যবাহী, লোকজ ও আধুনিক সঙ্গীতের আবেগময় পরিবেশনা উপস্থাপন করেন, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে সন্ধ্যাটিকে তারুণ্যের শক্তিতে পূর্ণ করে তোলে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের দশ দিন আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারত বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে যা প্রতি বছর দুই দেশের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে মৈত্রী দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।