অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে ভারত: খন্দকার মোশাররফ

ভারত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, দেশের ১৮ কোটি ঐক্যবদ্ধ মানুষের বিরুদ্ধে কোনো দেশই ষড়যন্ত্রে সফল হবে না।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। স্বৈরাচার দিবসের পতন উপলক্ষে ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের (আপসু) বিএনপিপন্থী ছাত্রনেতারা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ভারত এবং এখানে থাকা কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য এখন কী ধরনের সমস্যা তৈরি করছে এবং সারা বিশ্বে আমাদের বদনাম করছে, আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে? তাদের একমাত্র লক্ষ্য এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং এই সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করা।

তিনি বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ক্যু করে ক্ষমতা দখলের অবসান হয়েছিল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায় মাত্র কী তিন মাস ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছে? স্বাধীনতার পর থেকে তারা এখানে অত্যন্ত সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে আসছে।’

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার আহ্বানও জানান বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান এই সমস্যার সমাধান করেছেন এই বলে যে, এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান বলে কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশি ও বাংলাদেশের নাগরিক। তাহলে আমরা কেন এখানে এমন বিভাজন সৃষ্টি করব এবং এটা সহ্য করব।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বারবার সরকার পরিবর্তন করেছে। ‘তাই এদেশের মানুষকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে তাদের সরকার কী হবে, কীভাবে তারা দেশ চালাবে।’

তিনি বলেন, শান্তি বজায় রাখতে এবং দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে সকল ধর্ম নির্বিশেষে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের ১৮ কোটি মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে তারা যে দেশেই থাকুক না কেন, আমাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সফল করতে পারবে না।’

তিনি বলেন, বিগত সরকার যেভাবে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। বর্তমান সরকার সেগুলো সংস্কার করতে বদ্ধপরিকর।

দ্রুত নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রণয়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ।