আলু পেঁয়াজ রসুন বীজের উচ্চ মূল্যে দিশেহারা কৃষক

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি আলু পেঁয়াজ ও রসুনের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পরছে বীজের বাজারে। চাটমোহরের হাট বাজার গুলোতে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হচ্ছে আলু, পেঁয়াজ ও রসুন বীজ। বর্তমান প্রতি মন রসুনের বীজ প্রায় দশ হাজার টাকায়, আলু বীজ তিন হাজার দুইশ টাকায়, কন্দ পেঁয়াজের বীজ নয় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চারা পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রতি কেজি দানা বীজ মান ভেদে সাড়ে চার হাজার থেকে বারো হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে রসুন, ৪৯০ হেক্টর জমিতে কন্দ পেঁয়াজ, ৫২০ হেক্টর জমিতে চারা পেঁয়াজ ও ৭০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধুলাউড়ি গ্রামের কফিল উদ্দিন জানান, ইতি পূর্বে এ এলাকার গৃহস্থরা আলু বীজ লাগানোর পর উদ্বৃত্ত বীজ এলাকার হাট বাজারে বিক্রি করতো। যারা বীজ রাখতো না তারা অন্য গৃহস্থদের নিকট থেকে আলু বীজ কিনতো। বর্তমান সময়ে আলুর অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে অনেক গৃহস্থই বীজ রাখেননি। হাট বাজারেও পর্যাপ্ত পরিমানে ভাল মানের বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব বীজ পাওয়া যাচ্ছে তাও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। প্রতি মন আলুর বীজ তিন হাজার দুইশ টাকায় এবং প্রতিমন পেঁয়াজের কন্দ বীজ নয় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি। বরদানগর গ্রামের রতন হোসেন জানান, চারা উৎপাদনের জন্য প্রতি কেজি পেয়াজের দানা বীজ বিক্রি হচ্ছে ছয় থেকে সাত হাজার টাকায়। দাম বেশি হলেও নিরুপায় হয়ে কৃষক উচ্চ মূল্যে আলু, পেঁয়াজ ও রসুন বীজ কিনে আবাদ করছেন। এতে উৎপাদন খরচ বাড়বে। চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, এবার সারা দেশে আলু পেঁয়াজের সংকট ছিল। বীজ পাওয়া যাচ্ছে না এমন নয়। উচ্চ মূল্য হলেও কৃষক হাট বাজার থেকে বীজ সংগ্রহ করে জমিতে লাগাচ্ছেন। ভাল ফলন পেতে করণীয় প্রসঙ্গে আমরা কৃষককে অবহিত করছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক ভাল ফলন পাবেন আশা করছি।