ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) দক্ষিণ গাজায় এক অভিযান চালিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ৮২৮তম ব্রিগেডের অভিযানে দক্ষিণ গাজায় তিনজন নিহত হন। ওই তিনজনের লাশের পরিচয় শনাক্তের পর ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। জেরুজালেম থেকে সিনহুয়া জানায়, বিশ্বের কয়েক ডজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক বার্তায় ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎজ সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কাৎজের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, ‘৭ অক্টোবরের গণহত্যা ও নৃশংসতার হোতা গণঘাতক ইয়াহিয়া সিনওয়ার আজ আইডিএফ সৈন্যদের হাতে নিহত হয়েছে।’
এ বিষয়ে হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। হামাসের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণত গোষ্ঠীটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট আল-মাজদে তথ্য প্রকাশ করা হয়। সিনওয়ারের বিষয়ে জানতে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম নয়; বরং হামাসের কাছ থেকে তথ্য আসা পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের অপেক্ষা করতে বলছে এই ওয়েবসাইট।
ইরানের রাজধানী তেহরানে গত জুলাইয়ে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া। এরপর সিনওয়ারকে হামাসের প্রধান করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী ছিলেন। ২০১১ সালে বন্দী বিনিময়ের আওতায় তিনি মুক্তি পান