ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত ও বিভিন্ন থানায় গত শনি, সোম ও মঙ্গলবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ৭টি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০৪। এর মধ্যে হত্যা মামলার সংখ্যা ১৭৯।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারত চলে যান। এরপর ১৩ আগস্ট তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে প্রথম মামলা হয়। তারপর থেকে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের হচ্ছে। মামলাগুলোতে অভিযোগ আনা হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছোড়েন। এতে অনেক আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে।
অধিকাংশ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতা, পুলিশের সাবেক আইজিপি, ডিএমপির সাবেক কমিশনারসহ পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে বিভিন্ন হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার শীর্ষস্থানীয় ৩৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে খুন, গুম ও গণহত্যা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। যা এখনও চলমান।