ইয়ানূর রহমান : যশোরে বুধবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন
আ.লীগ কর্মী হানিফ । তবে, কোথায়, কারা, কখন তাকে গুলি করেছে এ কথা তিনি
বলতে পারছেন না। এমনকি একেক সময় একেক রকম তথ্য দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক
চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল নিজ গাড়িতে করে হানিফকে হাসপাতালে আনেন।
এরপর টুটুল জানান, হানিফকে যশোর নড়াইল সড়কের বিজলী পেট্রোল পাম্পের পাশে
পড়ে থাকতে দেখে তিনি নিয়ে এসেছেন। পরে ওষুধ কেনার কথা বলে চেয়ারম্যান
টুটুল পালিয়ে যান। এরপর থেকেই তিনি লাপাত্তা। যা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি
হয়েছে। অন্যদিকে, হাসপাতালেই মাতলামি শুরু করেন গুলিবিদ্ধ আ.লীগ কর্মী
হানিফ।
এদিকে, খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ হাসপাতালে ছুটে যান।
কোথায় ও কারা গুলি করেছে তা হানিফকে জিজ্ঞাসা করলে একেক সময় একেক রকম
তথ্য দেন তিনি। পরে রাত দেড়টায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায়
স্থানান্তর করা হয়। হানিফ লোন অফিসপাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে। ফতেপুরের
দাইতলায় জমি কিনে সেখানে হানিফ বসবাস করেন।
এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার সাইফুর রহমান
বলেন, হানিফকে যখন আনা হয় তখন তিনি ঘোরের মধ্যে ছিলেন। তার পেটের ডানপাশে
একটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। পরে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল বলেন, প্রাথমিকভাবে
ধারনা করা হচ্ছে হানিফ মধ্যপ অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি উল্টাপাল্টা
তথ্য দিচ্ছেলেন। কে গুলি করেছে কিংবা কেনই বা গুলি করেছে সে বিষয়ে এখনো
স্পষ্ট না। তারা তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানান।
অপর একটি সূত্র জানায়, হানিফ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। যুবলীগ
নেতা ফন্টু চাকলাদারের ঘনিষ্ট বন্ধু । হানিফের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা
রয়েছে। বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন তিনি। এছাড়া তিনি বাঘারপাড়া উপজেলা
পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত নাজমুল ইসলাম কাজলের ভাই
জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুলের সহযোগি। বুধবার
মধ্যরাতে নিজ গাড়িতে করেই টুটুল হানিফকে নিয়ে হাসপাতলে আসেন। কিন্তু পরে
পালিয়ে যান টুটুল। এর নেপথ্যে অন্য কোনো রহস্য আছে বলে সূত্রটি দাবি
করেন।