‘জান্নাতি ফল’ খেজুর সম্পর্কে যা বলেছেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)

খেজুরকে বলা হয় ‘জান্নাতি ফল’। এটি শুধু প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় খাবারই নয়, বরং এতে রয়েছে অসাধারণ উপকারিতা।

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালবেলা সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ বা জাদু তার ক্ষতি করতে পারবে না।’ ভিটামিন বি৬, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ খেজুর শরীরের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে।

ডায়াবেটিস থাকলে বা মিষ্টি এড়িয়ে চলতে চাইলে খেজুর হতে পারে প্রাকৃতিক বিকল্প। নিয়মিত খেজুর খেলে হজমশক্তি বাড়ে, হার্ট সুরক্ষিত থাকে এবং হাড় হয় মজবুত। পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরের সঠিক ব্যবহার শরীরকে সুস্থ রাখার চাবিকাঠি হতে পারে।

হজমের উন্নতিতে খেজুর
যাদের হজমজনিত সমস্যা রয়েছে, বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায়, তাদের জন্য খেজুর হতে পারে দারুণ কার্যকর। খেজুর প্রাকৃতিকভাবে হজম সহায়ক উপাদান সরবরাহ করে, যা পেটের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

হার্টের সুরক্ষায় খেজুর
হৃদরোগীদের জন্য খেজুর বিশেষ উপকারী। এতে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে।

হাড়ের যত্নে খেজুর
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে হাড় ক্ষয়ের সমস্যা দেখা দেয়। তাই আগে থেকেই হাড়ের যত্ন নেওয়া জরুরি। খেজুরে রয়েছে ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ, যা হাড়কে শক্তিশালী ও মজবুত করতে সাহায্য করে।

খেজুরের এই অসাধারণ গুণাবলি শরীরের সার্বিক সুস্থতায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খেজুর যুক্ত করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।