রাজশাহীতে হোটেল ও রেঁস্তোরায় অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের অভিযোগ

নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহী জেলাজুড়ে বিভিন্ন খাবার হোটেল রেঁস্তোরায় দেদারছে অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি হচ্ছে। দীর্ঘদিন এসব হোটেল রেঁস্তোরায় ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় হোটেল মালিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা ক্রেতাদের এক প্রকার জিম্মি করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অতি নিম্নমানের খাবার বেশি দামে কিনতে বাধ্য করছে। এসব খাবার খেয়ে অনেকে পেটের পীড়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে,শত শত খাবার হোটেল ও রেঁস্তোরা রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ রেঁস্তোরা হোটেলে অস্ব্স্থ্যাকর পরিবেশে ভেজাল ও বাসি খাবার পরিবেশন করা হয়। কোনো খাবার হোটেল মালিকরা খাবার ঢেকে রাখেনা বলেও জানা গেছে। নোংড়া পরিবেশে সেখানে খাদ্য তৈরি ও বিক্রি করা হয়। তাদের রান্নাঘর এতই নোংড়া তা কোন ক্রেতা একবার দেখলে তার খাবারের রুচি হারিয়ে ফেলবে। অধিকাংশ হোটেল রোস্তোরাঁয় সিঙ্গারা, সামুচা ও মোগলাই পরাটা ভাজা হয় অস্বাস্থ্যকর তেলে দিয়ে। এবং তেল গুলো বার বার ব্যবহারের কারণে পোড়া মবিলের আকার ধারন করে। অতি মুনাফা লোভী এসব হোটেল মালিকরা লাভের আশায় এতবেশি পরিমান সিঙ্গাড়া-সামুচা, পিঁয়াজু তৈরি করেন যা অর্ধেকও বিক্রি হয়না। অবিক্রিরত এসব খাবার তারা ফ্রিজে রেখে পরের দিন ওই পোড়া তেলে ভেজে আবারও বিক্রি করেন। তাদের ওই সব খাবারের মধ্যে অনেক সময় পোকা-মাকড় কিংবা এক খাবারের মধ্যে অন্য খাবারের অংশ গিয়ে পড়ে। তাদের থালা, বাটি, গ¬াস ধোয়া হয় অপরিস্কার পানিতে। ধোয়ার পরও বাসনপত্রে ময়লা লেগে থাকে। এসব হোটেল গুলোতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের তেমন কোন ব্যবস্থা নাই। অভিযোগ রয়েছে, এসব হোটেল মালিকরা বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা খদ্দেরদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিল আদায় করেন। তারা স্থানীয় প্রভাব খাটানোর কারনে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। অভিযোগ রয়েছে এসব হোটেলে গরুর মাংস বলে মহিষের মাংস এবং ছাগলের মাংস বলে মাদি ছাগলের মাংস বিক্রি করা হয়। এক হোটেল কর্মচারী নাম প্রকাশ না করারা শর্তে জানান, তাদের হোটেলের জন্য প্রতিদিন বাজারের বাসি ও ফেলনা শাক-সবজি কেনা হয়। আর ডালের সাথে ভাতের মাড় মেছানো হয়। রান্নার জন্য পোড়া তেল ব্যবহার করা হয়। কয়েকটি হোটেলের কর্মচারীরা আক্ষেপ করে বলেন, সকল চাকুরী জীবিদের মাসিক বা সাপ্তাহিক ছুটি-ছাটা থাকলেও আমাদের সেই ব্যবস্থা নেই। আমাদের এখনও ক্রীতদাসের মত নির্যাতন করা হয়। গ্লাস ভাঙ্গার মত সামান্য অপরাধে আমাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলে জানাগেছে।#