বড়াইগ্রামে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেল পাঁচ শিক্ষার্থী

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে অবশেষে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পেল পাঁচ শিক্ষার্থী। রোববার বড়াইগ্রাম সরকারী অনার্স কলেজের ওই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন। দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সুযোগ করে দেয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস।
জানা যায়, বড়াইগ্রাম সরকারী অনার্স কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের বাংলা বিষয়ের দুই জন এবং মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের একজন করে মোট পাঁচজন শিক্ষার্থী অন্যদের সাথেই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ফরম পূরণ করেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার প্রথম পরীক্ষার দিন তারা কলেজে এসে প্রবেশপত্র চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তা দিতে পারেননি। এতে তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে হৈচৈ শুরু করেন। পরে খবর পেয়ে ইউএনও কলেজে যান। তিনি সবকিছু শুনে মোবাইলে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলোতে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পরে সে অনুযায়ী জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে রোববার তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সবিতা খাতুন জানান, একটু ভুলের কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। পরে ইউএনও ম্যামের হস্তক্ষেপে আমাদের একটা সেশন পিছিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেলাম। আমরা ইউএনও ম্যামসহ কলেজ কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আব্দুল্লাহেল বাকি বলেন, তারা কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ফরম পূরণ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে ফি পরিশোধ করে। কিন্তু এ সংক্রান্ত ফরম পূরণের হার্ডকপি ও টাকা জমা দেয়ার রশিদ কলেজে জমা না দেয়ায় এ সমস্যাটির সৃষ্টি হয়েছে। আর যে বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারেনি, সেটা পরের সেশনের পরীক্ষার সময় ওই বিষয়ের পরীক্ষা দিলেই হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, একটু সচেতনতার অভাবে তাদের প্রবেশ পত্র আসেনি। তবে তারা শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে দেখে ভাল লাগছে।