১৪ বছরের প্রেম: প্রেমিকের টানে নাটোরে এলেন মালয়েশিয়ার তরুণী

নাটোর প্রতিনিধি
মালয়েশিয়ার তরুণী সিটি হাসনার সঙ্গে নাটোরের যুবক আনিছ রহমানের পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্য গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ ১৪ বছর প্রেমের টানে অবশেষে নাটোরের গুরুদাসপুরে এলেন মালয়েশিয়া তরুণী সিটি হাসনা(৩২)।

শনিবার(৪ ডিসেম্বর) সকালে গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকায় মায়ের সঙ্গে প্রেমিকের বাড়িতে আসেন ওই তরুণী।

আনিছ রহমান (৪২) নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর এলাকার জলিল রহমানের ছেলে। এবং
সিটি হাসনা(৩২) মালয়েশিয়া একটি শহরের মশিন জাকরি’র মেয়ে।

পরিবারেরর সদস্যরা জানান, ২০১০ সালে মালয়েশিয়ায় এক কর্মক্ষেত্রে নাটোরের ছেলে আনিছ রহমানের সঙ্গে মালয়েশিয়া তরুণী সিটি হাসনার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্য গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। দীর্ঘ বছর ধরে চলে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। ৫ বছর আগে পারিবারিক ভাবে দুজনের বাগদান সম্পন্ন হয়। তবে ভিসা জটিলতায় কারণে ওই তরুণী বাংলাদেশে আসতে পারেননি। তবে প্রেমের টানে মাঝে মাঝে বাংলাদেশী যুবক আনিছ মালয়েশিয়ায় যেতেন। অবশেষে শনিবার সকালে ওই মালয়েশিয়া তরুণী নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এলাকায় প্রেমিক যুবকের বাড়িতে আসেন। সঙ্গে ছিলেন তার মা। রোববার নাটোর আদালতে তাদের বিয়ে হবার কথা রয়েছে।

ছোট ভাই হক সাহেব বলেন, আমার ভাই মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় তাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারিবারিক ভাবে বিয়ের প্রস্তুতি নিলেও নানা জটিলতায় তা হয়নি। আমার ভাই প্রেমের জন্য এত বছর অপেক্ষা করেছেন। দীর্ঘ ১৪ বছর পর কাল আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হবে।
আমরা অনেক আনন্দিত। দীর্ঘ প্রেমের পর তারা একটি সম্পর্কে আবদ্ধ হচ্ছেন। পারিবারিক ভাবে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। পরিবারের সবাই আনন্দিত। সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন। তারা যেন সুখে থাকেন।

৩ নং খুবজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। মালয়েশিয়া থেকে একজন তরুণী খুবজিপুরে এসেছেন। তিনি যে উদ্দেশ্যে নাটোরে এসেছেন, তা যেন সফল হয়। তাদের দুজনের জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইলো।

প্রেমিক আনিছ রহমান বলেন, ১৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক আমাদের। কাল আমাদের পারিবারিক ভাবে দুজনের বিয়ে হবে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন। যেন আমরা সুখে জীবনযাবন করতে পারি।