অনাবিল ডেস্ক ::
সম্প্রতি দেশের জনপ্রিয় কয়েকজন অভিনেত্রীর নাম জড়ায় মাদকের সঙ্গে। তারা হলেন তানজিন তিশা, সাফা কবির, মুমতাহিনা টয়া ও সংগীতশিল্পী সুনিধি নায়েক। সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে বিষয়টি। তবে সেসময় টুশব্দ করেননি তিশা। এবার সরব হলেন।
সম্প্রতি এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আসেন তিশা। সেখানে পুরস্কার গ্রহণের পর বলেন, ‘কিছু সাংবাদিক ভাইদের বলতে চাই যে যাচাই-বাছাই না করে সত্য মিথ্যা না জেনে নিউজ করবেন না। মাঝেমধ্যেই যখন একজন আর্টিস্টকে নিয়ে একটা লিখেন তখন আপনাদের একটা বার মাথায় আসে যে, একজন শিল্পীর এটা পেশা কিন্তু তার পেছনে তার একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে। যে ব্যক্তিগত জীবনে তার পরিবার আছে তার সমাজ আছে বাবা-মা আছে ভাইবোন আছে।’ এরপর বলেন, ‘আসলে তাদের উপরে কী যায় সেই ব্যাপারটা যদি আমরা একটা বার চিন্তা করি তাহলে আসলে অনেক নেগেটিভ হেডলাইন অনেক নেগেটিভ নিউজ অনেক কিছু না আমরা আসলে আটকাতে পারব।’
তিশা তার বাবাকে উৎসর্গ করে বলেন, ‘তিন বছর আগে আমি বাবাকে হারিয়েছি, এটা এখনও বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হয় তবে এখন এটা শুনে স্বস্তি অনুভব করি এটা চিন্তা করে যে বাবা হয়ত এখন বেঁচে থাকলে এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টক্সিক ব্যাপারগুলো দেখতে হতো। আমি আমার বাবাকে কখনো অ্যাওয়ার্ড উৎসর্গ করিনি। এই অ্যাওয়ার্ড বাবা তোমার জন্য।’
এর আগে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, মাদক ব্যবসার বিষয়ে মৌখিক স্বীকারোক্তির একপর্যায়ে দীপের মোবাইল ফোনের কললিস্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং পরীক্ষা করা হয়। এতে জনপ্রিয় কয়েকজন অভিনেত্রীর মাদক সম্পৃক্ততার তথ্য মেলে। এমনকি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া মাদকের অর্ডারসংক্রান্ত কয়েকটি সুনির্দিষ্ট হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং রেকর্ডও পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নারকোটিক্সের সহকারী পরিচালক রাহুল সেন সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, দীপকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে আমরা কয়েকজন প্রথম সারির অভিনেত্রী ও মডেলের মাদক সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছি। এ বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, দীপের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সাফা, টয়া, তিশা এবং সুনিধি নায়েকের নামে সেভ করা কয়েকটি নম্বর থেকে নিয়মিত মাদকের অর্ডার দেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে নম্বরগুলো যাচাইয়ের জন্য ফোন নম্বরের রেজিস্ট্রেশন রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়। এতে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট নম্বরগুলো সাফা কবির এবং টয়ার নামেই রেজিস্ট্রেশনকৃত। তবে তানজিন তিশার নম্বরটির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে তার মা উম্মে সালমার নামে।