মেজর সিনহার স্মরণে স্মৃতিফলক উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান

পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের স্মৃতিতে নির্মিত স্মৃতিফলকের উদ্বোধন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শ্যামলাপুরে ‘সিনহা স্মৃতিফলক’ এর উদ্বোধন করা হয়। বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়নের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিফলকটি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়ে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ জামান শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একইসঙ্গে সিনহা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সব ধরণের সহযোগিতা আশ্বাস দেন।
স্মৃতিফলক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম, বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, মেজর সিনহার মা নাসিমা আক্তার ও বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ছাড়াও সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফ মেরিড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শ্যামলাপুর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে চেকপোস্টে থামানো হয়। এরপর তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। সেনাবাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্তা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ এরশাদ খান অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব ছিলেন। সিনহা ২০০৩ সালের ২১ জুলাই সেনাবাহিনীতে ৫১তম বিএমএ লং কোর্সে যোগদান করেন এবং ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে কমিশন লাভ করেন। চাকুরি জীবনে তিনি অত্যন্ত দক্ষ, বিচক্ষণ, উদ্ভাবনশীল ও চৌকস সেনা অফিসার ছিলেন। তিনি একজন দক্ষ সংগিন যোদ্ধা এবং স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সদস্য ছিলেন। এছাড়া ২০১৩ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আইভোরিকোস্টে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন মেজর সিনহা।

preload imagepreload image